ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের রয়েছে ৭ টি হ্যাটট্রিক

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক একটি বিরল ও কঠিন কীর্তি। তবে প্রতিটি বোলারের কাছে এটি একটি সোনার হরিণ। কিন্তু এই কঠিন কাজটিও অনেক বোলার করে দেখিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত হ্যাটট্রিক হয়েছে মোট ১৩৯ বার। যার মধ্যে টেস্টে ৪৬ বার, ওয়ানডেতে ৪৯ বার এবং টি-২০ তে হ্যাট্রিক হয়েছে ৪৪ বার।

সব মিলিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে সর্বমোট ৭ জন বাংলাদেশি বোলারও এই কীর্তি গড়েছেন। যার মধ্যে ২ জন টেস্টে এবং বাকি ৫ জন করেছেন ওয়ানডে ফরম্যাটে।

অলক কাপালিঃ

বাংলাদেশের হয়ে এই কীর্তি প্রথম করেন অলক কাপালি। ২০০৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটে তিনি প্রথম বাংলাদেশি যিনি এই কীর্তি গড়েন। পাকিস্তানের বিপক্ষে পেশোয়ারে এই কীর্তি গড়েন অলক কাপালি। পরপর তিন বলে সাব্বির আহমেদ, দানিশ কানারিয়া ও উমর গুলের উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

শাহাদাত হোসেনঃ

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন শাহাদাত হোসেন। বাংলাদেশের প্রথম হ্যাট্রিকের ৩ বছর পরে ২০০৬ সালে এই কীর্তি গড়েন শাহাদাত হোসেন। যেটি দেশের হয়ে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। হারারাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংসের ৩৯ তম ওভারে পরপর তুলে নেন মুফামদিসি, চিগাম্বুরা ও মুপারিয়া এর উইকেট।

আব্দুর রাজ্জাকঃ

৪ বছর পর বাংলাদেশ পায় তৃতীয় হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের হাত ধরে আসে ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে ২ ওভার মিলিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আব্দুর রাজ্জাক। ৪৫ তম ওভারের শেষ বলে উতছেয়া এবং ৪৭ তম ওভারের প্রথম দুই বলে প্রাইজ ও এম পফু কে আউট করেন আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ ঐ ম্যাচটি জিতে ৬ উইকেটে।

সোহাগ গাজীঃ

বাংলাদেশের পক্ষে চতুর্থ হ্যাটট্রিক  আসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে। যা টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হ্যাটট্রিক টা করেন সোহাগ গাজী। এই ম্যাচটিতে হ্যাট্রিকের পাশাপাশি সেঞ্চুরিও করেন সোহাগ গাজী। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম এক ম্যাচে হ্যাট্রিকের পাশাপাশি সেঞ্চুরি করার অনন্য রেকর্ড করেন সোহাগ গাজী।

রুবেল হোসেনঃ

ওয়ানডে ক্রিকেটে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন রুবেল হোসেন। যা দেশের হয়ে পঞ্চম হ্যাটট্রিক। ২০১৩ সালে সোহাগ গাজীর পরে আবারো এই কীর্তি করেন রুবেল হোসেন। ইনিংসের ২৪ তম ওভারে করি অ্যান্ডারসনকে বোল্ট করার পরে ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম ও জিমি নিশামকে ক্যাচ তোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রুবেল হোসেন।ঐ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে যায় ৪৭ রানে।ও

তাইজুল ইসলামঃ

বিশ্বের ৩৬ তম ও বাংলাদেশের চতুর্থ বলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেন তাইজুল ইসলাম। ২০১৪ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি করেন তিনি। অভিষেক ওয়ানডেতে প্রথম হ্যাটট্রিক করা বলার ছিলেন তাইজুল ইসলাম। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাদা বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে এখন তাইজুল ইসলামের সঙ্গী।

তাসকিন আহমেদঃ

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম এবং সর্বশেষ হ্যাট্রিকের দেখা পান তাসকিন আহমেদ। ২০১৭ সালে শ্রীলংকা বিপক্ষে এই কীর্তি করেন তাসকিন আহমেদ। ৭ টি হ্যাটট্রিকের ৪ টি এসেছে দেশের মাটিতে বাকি ৩ টি এসেছে বিদেশের মাটিতে।